সিনিউজ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। যেখানেই দুর্নীতি, অনিয়ম এবং অনাচার পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেই দলমত নির্বিশেষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রকাশিত দুটি বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে দেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। খালেদা জিয়া দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন। তিনি নিজেও কালো টাকা সাদা করেছেন। তার অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানও কালো টাকা সাদা করেছেন। হাওয়া ভবন নির্মাণ করে যেকোনো ধরনের কাজে ১০ শতাংশ কমিশন বাণিজ্য করেছেন বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের জিডিপির গ্রোথ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি। যেকোনো সূচকে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতের চেয়েও এগিয়ে রয়েছে। এমন অভাবনীয় উন্নয়নে সারাবিশ্ব বাংলাদেশের প্রশংসা করছে। অর্থনীতিবিদরা বাংলাদেশের উন্নয়নকে অবাক চোখে দেখছেন। কিন্তু বাংলাদেশের উন্নয়ন শুধুমাত্র বিএনপি এবং তার নেতাদের চোখে পড়ে না।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বিবৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম বিবৃতি দিয়েছেন, যুবদলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। শুধু যুবদলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না, যুবলীগের নেতাকর্মীকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। আজকে আপনারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছেন, আগে আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখুন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা আপনাদের মানায় না।
অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান রচিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনী’ এবং নুর উন নাহার মেরি রচিত ‘আমার চেতনায় বিশ্বনেতা বঙ্গবন্ধু’ বইয়ের এই মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করে অমর প্রকাশনী।
এতে আলোচনা করেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মান্নান চৌধুরী, জাগো নারী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নুর উন নাহার মেরি, মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক রোজিনা নাসরিন প্রমুখ।
প্রকাশনা উৎসব ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ।
0 Comments
Please login to start comments